ইলিশ রপ্তানি: দেশের সম্পদ বিদেশে, সাধারণ মানুষ কি পাবে?
দেশীয় সম্পদ রপ্তানি: জনমতের প্রতিফলন
সম্প্রতি খবর এসেছে যে, ৩ হাজার টন ইলিশ ভারত রপ্তানি হচ্ছে। এই বিষয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মুহাম্মদ হারুনর রশীদ এর মতামত উঠে এসেছে। তিনি এই রপ্তানিকে এক ধরনের দেশের সম্পদের অপচয় হিসেবে দেখছেন এবং বলেন, “এটা ঠিক না। দেশের সম্পদ দেশে থাকুক, যাতে আমরা কম দামে ইলিশ খেতে পারি।”
ইলিশ, যা বাংলাদেশের ঐতিহ্য এবং খাদ্য সংস্কৃতির একটি বড় অংশ, তার রপ্তানি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে, এই মাছ দেশের জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং এর দাম সাধারণ মানুষের পক্ষে অনেক সময় নাগালের বাইরে চলে যায়। রপ্তানির ফলে স্থানীয় বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে যেতে পারে এবং দাম বেড়ে যেতে পারে, যা সাধারণ মানুষের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
মুহাম্মদ হারুনর রশীদের মতে, “দেশের সম্পদ আমাদের দেশেই থাকা উচিত।” তাঁর এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি দেশের সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের এবং স্থানীয় বাজারে এই সম্পদের প্রাপ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। যদি ইলিশের মতো দেশের সম্পদ বিদেশে চলে যায়, তাহলে এটি দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে, যারা এই মাছের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হবে।
এই বিষয়ে সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণের মাঝে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা জরুরি, যাতে দেশের সম্পদ রপ্তানির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের সুষ্ঠু সরবরাহ বজায় থাকে এবং সাধারণ মানুষ যাতে উপকারিতা পায়।
মন্তব্য নেই! একটি মন্তব্য লিখুন।