
ড. ইউনুসের সঙ্গে সংঘাতে না জড়ানোর পরামর্শ খালেদা জিয়ার
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র নেতাদের নির্বাচন ইস্যুতে সরাসরি সরকারের সঙ্গে কোনো বিরোধে না জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকটের সমাধান সংঘাতে নয়, আলোচনার মাধ্যমেই হওয়া উচিত। পাশাপাশি যুক্তির ভিত্তিতে সব সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে নির্বাচনি রোডম্যাপ নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার কথা বলেন তিনি।
ঈদুল আজহার দিন শনিবার (৭ জুন) রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে তিনি এসব মন্তব্য করেন বলে দলটির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার বরাতে জানা গেছে।
এর আগে, গত ৬ জুন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দেন—আগামী বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম ভাগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ড. ইউনূসের এই বক্তব্যের পরপরই বিএনপি জরুরি বৈঠকে বসে এবং এক বিবৃতিতে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে।
৭ জুনের ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ড. ইউনূসের বক্তব্য ও সরকারের ঘোষিত নতুন রোডম্যাপ উঠে আসে আলোচনায়। দলীয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া নির্বাচন এপ্রিলের মধ্যে হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, ড. ইউনূস যদি ওই সময় প্রধান উপদেষ্টা পদে না থাকেন, সে পরিস্থিতিও বিবেচনায় রেখে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, “সরকারের সঙ্গে সংঘাতে গেলে বিএনপির কোনো লাভ নেই। তাই আলোচনার পথেই অগ্রসর হওয়া উচিত। যুক্তির আলোকে কীভাবে নির্বাচন এগিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।”
সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়ার পরামর্শ অনুযায়ী, ৯ জুন অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেকটি বৈঠক। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের কৌশল নিয়েই গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অবস্থান বিএনপির পূর্বের কঠোর মনোভাব থেকে কিছুটা নমনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
মন্তব্য নেই! একটি মন্তব্য লিখুন।