
৮ মাসে ২২৪ ধর্ষণ, ৮১ হত্যা, ১৩৩ আত্মহত্যা
চলতি বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) বাংলাদেশে ২২৪ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ৮১ জন হত্যা করা হয়েছে এবং ১৩৩ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ অনুষ্ঠিত ‘কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন উপস্থাপন’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের ন্যাশনাল কো–অর্ডিনেটর সৈয়দা আহসানা জামান (এ্যানী) বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন থাকার পরও অপরাধগুলো বেড়ে চলেছে। এ সময়ের মধ্যে ৩২ জন কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে, এর মধ্যে ১৩৪ জন একক এবং ৩৩ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। উদ্বেগজনকভাবে, এক বছরের শিশুদেরও এই বর্বরতার শিকার হতে দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া, ৮১ জন কন্যাশিশুর হত্যার পেছনে পারিবারিক দ্বন্দ্ব, পূর্ববর্তী শত্রুতার জের এবং যৌন নির্যাতন উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে ২০ জন কন্যাশিশুর, তবে সেসবের কারণ স্পষ্ট নয়।
আত্মহত্যার বিষয়ে আহসানা জামান বলেন, হতাশা, পারিবারিক অশান্তি, প্রেমের প্রত্যাখ্যান এবং যৌন নির্যাতনসহ নানা কারণে ১৩৩ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করেছে, যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগজনক।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কন্যাশিশুর প্রতি অবহেলা পুরো জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। দেশে কন্যাশিশুর অপুষ্টির হার বেশি এবং অনেকেই স্কুলে যেতে পারছে না। অল্প বয়সে বিয়ের মাধ্যমে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী, সহসভাপতি শাহীন আকতার ডলি এবং এডুকো বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য নেই! একটি মন্তব্য লিখুন।